প্রবাহ।
- লিখেছেন আবদুল্লাহ্ আল ফারুক।
--------------
একটি বাতাসের ঘূর্ণি সামনে আচমকা এসে গেলো,
চোখ বন্ধ অবস্থায় ধূলির ঝাপটা-টা কেউ নীরবে সয়ে নিলো।
উৎসাহী পথিক খানিকটা সামনে এগিয়ে দেখে,
গতিশীল হাওয়া প্রকৃতির পরতে পরতে তার চিহ্ন যাচ্ছে রেখে।
বৃক্ষের শাখা-পত্ররা তিরতির যায় কেঁপে অবাক করা ছন্দে,
কোথাও তরঙ্গিত ঢেউয়ের ন্যায় বাধা পেয়ে নিম্নে দ্বিধা- দ্বন্দ্বে,
আবারো দলা পাকিয়ে বায়ুপ্রবাহের উর্ধ্বগমন, নব চেতনা আর,
শিহরণ জাগায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে!
প্রাণে জাগায় উৎফুল্লতা অন্য স্থানের বৃষ্টি স্পর্শিত শীতল হাওয়া,
না জানি কতক্ষণ রবে তার শীতলতা, নিবিষ্ট মনে ছুটে যাওয়া!
কখনো ফানেল আকৃতির প্রবল ঝঞ্ঝা দেয় আশ্চর্য বিস্ময়তা,
সীমানার বাইরে নড়ে না কিছু একচুল,
আদিষ্ট হয়ে সে আসে অভীষ্ট লক্ষ্যপানে, তন্ময় গতিময়তা,
যথাকর্তব্য করে সমাপন হয় শান্ত, হিসাব নির্ভুল।
দাম্ভিকদের ভীত নড়িয়ে প্রায়ই দোর্দন্ড প্রতাপে অহংকার দেয় সরিয়ে,
শেষ গন্তব্যে পৌঁছে তার অদম্য গতি নিমিষেই যায় শূন্যে মিলিয়ে!