মিউয়ন।
   - লিখেছেন আবদুল্লাহ্ আল ফারুক।
----------------------------------
কোন সময় আসলে তুমি?!
নিচে আকাশ, সপ্তভূমি!
সূদূরের মহাজাগতিক রশ্মি হানলো আঘাত,
যেন এক অদৃশ্য ধারা, বিপুল জলপ্রপাত!
পৃথিবীর বায়ে।
লেগে বাতাসের গায়ে,
স্বল্পায়ু নিয়ে জন্মালে,
মোদের চোখের আড়ালে!
মুহূর্তে দাও উড়াল বেপরোয়া গতিতে,
তুমি খুব পারোও- উদ্দাম ছুটতে!
অনেক বেশি ভর নিয়ে, অনুরূপ কণার চেয়ে।
স্বাধীন দূরন্ত পথিক অবাক ছাড়পত্র পেয়ে!
তেজস্ক্রিয় তুমি! তাই ক্ষয়ে গিয়ে রূপ নাও,
বিলীন হয়ে ঝরে যাও-
আরো ক্ষুদ্র নব তিনটি কণায়।
স্থান করে দাও তব জায়গায়!
মুক্ত, অবাধে ছুটে চলো আলোর কাছাকাছি বেগে,
প্রায়ই ভাবি তোমার সফর নিয়ে, কল্পনায় জেগে!
অস্থায়ী হয়েও কেমন চমক দেখাও পলকে!
দুর্ভেদ্য কঠিন প্রস্তর ফুঁড়ে এগিয়ে চলো ঝলকে!
আমরা তো পারি না কাঠিন্য ভেদ করতে,
এই আগ্রহী হাতে পারিনা তোমায় ধরতে!
তুমি কী করে চলে যাও সবকিছু এড়িয়ে!
নিখুঁত নকশা চিত্র নিজ কাঁধে চড়িয়ে!
পৃথিবী, মানুষ এবং যা কিছু রয় ভ্রমণ পথে!
তব স্পর্শ অবচেতনে না জেনেই কায়ায় গাঁথে!
ধরে রাখবে কি মোদের ছবি তব স্মৃতিপটে,
নাকি হারিয়ে যাবে তা নির্বিকার মহাকাল ঘটে!
মনে পড়বে কি বিলীন হওয়ার আগে,
রেখে দিতে চেয়েছি তোমায় আনতে সহজে বাগে!
অতি অল্প সময়-ই তো তোমার জীবনকাল রাখা,
আচ্ছা, পারো কি বলতে তুমি কোন মানবের কথা?!
কোন প্রাণ কি তব মাঝে আছে?
এই উত্তরগুলো বলোতো, পাবো কার কাছে!

Image Courtesy: https://pixabay.com/illustrations/background-space-universe-galaxy-3901037/